
॥ ‘ইসলামিক স্টেট অব বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে চলছে জঙ্গী প্রশিক্ষণ ॥
ডেস্ক রিপোর্ট : মাত্র চার ঘণ্টায় রামু বৌদ্ধবিহার ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করার ঘটনার মূল হোতা রোহিঙ্গা জঙ্গী ছালামত উল্লাহ এবার কক্সবাজারে নির্জন পাহাড়ে আস্তানা গড়ে তুলছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংস্থার তরফ থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়াসহ জঙ্গীপনার নেতৃত্বদানকারী এ ভয়ঙ্কর জঙ্গীকে দেড় লাখ টাকা মাসিক বেতন দেয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, এই ভয়ঙ্কর রোহিঙ্গা নেতার অধীনে রয়েছে প্রভাবশালী এক জামায়াত, একাধিক বিএনপি এবং ৩ ইউপি আ’লীগের নেতাসহ
আরও ২৪ প্রথম সারির রোহিঙ্গা জঙ্গী। তাদেরও ক্ষেত্রবিশেষে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান, সৌদি ও তুরস্কভিত্তিক একাধিক সংস্থা। রোহিঙ্গা জঙ্গী মাস্টার আয়ুবের নের্তৃত্বে লামা-আলীকদমের গহীন অরণ্যে সশস্ত্র ঘাঁটিতে অস্ত্র প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় বে আইনী কর্মকান্ডের দেখভাল করেন ছালামত উল্লাহ।
সূত্র জানায়, উচ্চ মহল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নোয়াখালীর হাতিয়া ও সুবর্ণচরে স্থানান্তরের নির্দেশের কথা জানতে পেরে জেএমবি এবং আরএসওর সশস্ত্র ক্যাডার, জামায়াত-বিএনপির কতিপয় নেতা ও রোহিঙ্গা জঙ্গীরা নতুন করে অপতৎপরতা শুরু করে দিয়েছে। ডাকু প্রকৃতির সন্ত্রাসী রোহিঙ্গাদের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে তাদের নিজস্ব আস্তানায় ও শহরে বিভিন্ন ভাড়া বাসায় আশ্রয় দেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, ভয়ঙ্কর ছালামত উল্লাহ ঈদগাঁও ইসলামপুর এলাকায় মাদ্রাসার আদলে গড়ে তুলছে একাধিক আস্তানা। সরকারী বিশাল বনভূমি জবরদখল করে কক্সবাজারের ইসলামপুরে মানবসেবা ফাউন্ডেশনের নামে রোহিঙ্গা জঙ্গীদের এ আস্তানা গড়ে তোলা হচ্ছে। সরকারের অনুমোদন না নিয়ে বন বিভাগের ১০ একর জমি দখল করে মসজিদ, হেফজখানার নামে জঙ্গীদের সেখানে গোপনে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাকে এ কাজে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা দিয়ে চলেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী বিএনপি নেতা। জঙ্গী সৃষ্টির এসব আস্তানায় ইদানীং রাতের অন্ধকারে অচেনা লোকজনের আনাগোনা বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কিছুদিন আগে সৌদি আরবের জেদ্দায় রোহিঙ্গা জঙ্গীদের অর্থ প্রদানকারী দুই ধনাঢ্য আরএসও নেতার উপস্থিতিতে মানবসেবা ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি ইত্তেহাদুল তুল্লাহুল মুসলেমিনের সভাপতির দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে জঙ্গী ছালামত উল্লাহর ওপর। বৈঠকে সৌদি আরবে রোহিঙ্গা নেতা আবু সালমান (মোঃ আলম) ও শায়খ আবদুচ্ছালাম উপস্থিত ছিলেন। জেদ্দায় বৈঠক সেরে বাংলাদেশে আসার পর কক্সবাজারের ওই নির্জন স্থানে বনভূমি দখল করে রাতারাতি অসংখ্য শ্রমিক দিয়ে জোরেশোরে আস্তানা গড়ে তুলছে জঙ্গী ছালামত উল্লাহ। বিএনপি নেতা আবুল কালাম মেম্বারের সহযোগিতায় বন বিভাগের বিশাল জমি জবরদখল করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানীয়দের চোখে ধুলো দিয়ে এসব স্থাপনা গড়ে তোলা হলেও প্রতিবাদ করার সাহস কারও নেই।
জনকণ্ঠ
পাঠকের মতামত